নেত্রকোনার মদনে মা সমাবেশ

ঢাকা, ১২ এপ্রিল
ডেস্ক: নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আজ বুধবার ইউনিয়ন পরিষদ ও বালালী-দৌলতপুর সিজি গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে পিএইচডি এর সহযোগিতায় গর্ভবতী মাদের নিয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬৩ জন গর্ভবতী মাকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, এএনসি চেকআপ, স্বাস্থ শিক্ষা ও আয়রণ ট্যাবলেট বিনামূল্যে দেয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহম্মদের সভাপতিত্বে মা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রোকন উদ্দিন আহম্মদ,মো. সিরাজুল হক ভইয়া, মো. সোহেল চৌধুরী, কুলসুমা আক্তার, আজহারুল ইসলাম, আলী হোসেন,সামচ্ছুদ্দিন আহম্ম, হাওয়া আকক্তার নরুল ইসলাম সবুজ প্রমূখ।
সেরানিউজ২৪/আই.জে

সন্ত্রাসের চেয়েও ভয়াবহ হচ্ছে প্রেম

ঢাকা, ০২ এপ্রিল
ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী বর্তমানে একটি প্রধান সমস্যা হচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। প্রতিদিনই এই অভিশাপের বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু যদি বলা হয়,! বিশ্বাস না হলেও অন্তত ভারতের ক্ষেত্রে এটাই সত্য। প্রেম সেখানে সন্ত্রাসের চেয়ে ভয়াবহ না হলেও সন্ত্রাসী হামলার চেয়ে ছয়গুন বেশি মানুষ মারা যায় ‘প্রেমের আঘাতে’।

নতুন এক জরিপ অনুসারে, গত পনেরো বছরে সন্ত্রাসী হামলায় ভারতে যত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে প্রেমঘটিত ব্যাপারে। ২০০১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দেশটিতে প্রেমের কারণে ৩৮ হাজার ৫৮৫ টি খুনের ঘটনা ঘটেছে এবং আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৭৯ হাজার ১৮৯টি। এছাড়া ২ লাখ ৬০ হাজার অপহরণের ঘটনা ঘটেছে প্রেমের কারণে। এসব নারীদের অধিকাংশকেই অপহরণ করা হয়েছে বিয়ের উদ্দেশ্যে। একই সময়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

এসব মৃত্যুর বেশিরভাগই ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও মধ্যপ্রদেশ। প্রেমের কারণে সবচে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে এসব এলাকায়। তদন্তে দেখা গেছে, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে প্রেমিক নৃশংস হয়ে উঠেছেন। অনেক সময় প্রেমিকাকে ক্ষোভে খুন করেছেন। আবার কখনো নিজেকেও শেষ করে দিয়েছেন।

তবে প্রেমে ব্যর্থতা হয়ে সবচে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে। গত ১৪ বছরে ১৫ হাজার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ভারতের এই রাজ্যে। আত্মহত্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। ১৫ বছরে ৯ হাজার ৪০৫টি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। তবে ভারতে এ ধরনের ঘটনা আরো বেশি হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সেরানিউজ২৪/আই.জে

ডায়াবেটিস নিরাময় করে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে করলা

ঢাকা, ২৭ মার্চ
ডেস্ক : সম্প্রতি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, করলা নামক উদ্ভিদটি ডায়াবেটিস নিরাময়ে এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। করলা এশিয়া, আফ্রিকা এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে জন্মায়। ঐতিহ্যগত ভাবেই ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়ে আসছে করলা।

অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার খুবই জটিল একটি ক্যান্সার যা প্রায়ই দেরিতে শনাক্ত হয় বলে নিরাময়ের সময় খুব কম পাওয়া যায়। ঐতিহ্যগত থেরাপি (কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন, সার্জারি ইত্যাদি) এর ক্ষেত্রে আশাব্যাঞ্জক ফলাফল দেখায় না এবং গবেষকেরা এখনো নিরাময়ের উপায় খোঁজার চেষ্টা করছেন।

অতি সম্প্রতি করলার রস অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে বলে দেখা গেছে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণায়। পরীক্ষাটি ইঁদুরের শরীরে এবং টেস্ট টিউবের মধ্যে করা হয়। গবেষণাটির বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই চলুন।
অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার
অনেক ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমারে ইনসুলিন রিসেপ্টর আছে যা গ্লুকোজকে ক্যান্সার কোষের দিকে ঠেলে দেয় তাদের বৃদ্ধি পেতে এবং বিভক্ত হতে। গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে, নির্ভরশীল পদ্ধতিতে ইনসুলিন এর ডোজ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। করলা ইনসুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে থাকতে সাহায্য করে। এভাবেই দীর্ঘমেয়াদে করলা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার নিরাময়ে সাহায্য করে।

কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাটি পরিচালনা করেন ডা. রাজেশ আগরওয়াল। গবেষকেরা করলার প্রভাব লক্ষ্য করেন ৪ টি ভিন্ন ধরণের অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার কোষের উপর এবং পরীক্ষাটি টেস্ট টিউবে এবং ইঁদুরে করা হয়।
ভিভো গবেষণায় অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার কোষ আছে এমন ইঁদুরদের ২ টি দলে পৃথক করা হয়। ইঁদুরের একটি দলকে পানি দেয়া হয় এবং অন্য দলটিকে করলার রস দেয়া হয় ৬ সপ্তাহের জন্য।

গবেষকেরা টিউমারকে শেষ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেন এবং ফলাফলে দেখেন যে, করলার রস শুধু ক্যান্সার কোষের দ্রুত বৃদ্ধিকেই প্রতিহত করেনা বরং ক্যান্সার কোষের মৃত্যুকেও উৎসাহিত করে। নিয়ন্ত্রিত দলটির তুলনায় চিকিৎসার দলটিতে টিউমারের বৃদ্ধি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত প্রতিহত হয় এবং এর ফলে শরীরে কোনো বিষাক্ততা বা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না।

ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস নিরাময়ে করলার কার্যকারিতা নির্ণয়ের জন্য অনেক গবেষণা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, ডায়াবেটিস অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে। অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের উপর করলার রসের প্রভাব দেখার পর গবেষকেরা অনুমান করেন যে করলার রস ডায়াবেটিস ও নিরাময় করতে পারবে।

২০১১ সালে এথনোফারমাকোলজি নামক সাময়িকীতে ৪ সপ্তাহের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশিত হয়। এতে দেখানো হয় যে, যারা দৈনিক ২০০০ মিলিগ্রাম করলা গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে পরিমিত হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব এবং উল্লেখযোগ্য ফ্রুক্টোস্যামাইন ব্যবস্থাপনা দেখা যায়।

গবেষণা প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয় যে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে যারা দৈনিক ২০০০ মিলিগ্রাম করলার রস গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে পরিমিত হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব ফেলেছিলো এবং ফ্রুক্টোস্যামাইনের মাত্রা কমেছিলো উল্লেখযোগ্য হারে। যদিও দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম মেটফরমিন এর তুলনায় করলার রসের হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব কম থাকে।

২০০৮ সালে কেমিস্ট্রি এন্ড বায়োলজি নামক আন্তর্জাতিক সাময়িকীতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, করলার যৌগ গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণকে উন্নত করে, কোষের গ্লুকোজের উত্তোলনে সাহায্য করে এবং গ্লুকোজের সার্বিক সহনশীলতার উন্নতিতে সাহায্য করে। গবেষণাটি ইঁদুরের উপর করা হয় এবং ডায়াবেটিস নিরাময়ে ও স্থূলতা কমতে আশাপ্রদ অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায় করলার ব্যবহারে।

সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে যে, করলার রস নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে, ডায়াবেটিস নিরাময়ে এবং অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে শক্তিশালী ফলাফল দেখায়। এই উদ্ভিদের কার্যকারিতা বোঝার জন্য আরো অনেক গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রয়োজন। সূত্র : কালেক্টিভ ইভল্যুশন

সেরানিউজ২৪/আই.জে

কোলন পরিষ্কার রাখুন পানীয় পান করে

ঢাকা, ২২ মার্চ, এবিনিউজ : দেহের বৃহদান্ত্রকে কোলন বলা হয়। এটি পাচনতন্ত্রের নিচের দিকে অবস্থান করে। বর্তমান সময়ে কোলন ক্যান্সার বেশ আলোচিত একটি বিষয়।
সাধারণত যে সকল কারণে কোলন ক্যান্সার হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হল বেশি পরিমাণ চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া, ফাস্টফুড খাওয়া, বয়স, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে ক্যান্সার হলে অথবা পরিবারে আগে কারোর ক্যান্সার থাকলে ইত্যাদি।
কোলন সুস্থ রাখা অনেক জরুরি। কেনা এই কোলন খাবারের অবশিষ্টাংশ থেকে সগ্রহ করে পানি ও লবণের মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই, খাবারের মাধ্যমেই মাঝে মাঝে কোলন পরিষ্কার করে নেয়াটা ও টক্সিক উপাদান বের করে দেয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

একটি পানীয়ের রেসিপি, যা মাত্র একদিন সেবন করলেই কোলন হতে দূর হবে বিষাক্ত উপাদান। কিছু মাস পর পর নিয়মিত সেবন করলে তা কোলনের সুস্থতায় দেবে দারুণ ফলাফল।

যা যা লাগবে
* ১ চা চামচ আদার রস
* ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
* ১/২ কাপ আপেল জুস
* ১/২ চা চামচ সি সল্ট
* ১/২ কাপ কুসুম গরম পানি

যেভাবে তৈরি করবেন
সবগুলো উপাদান একটি পাত্রে মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে নিন। তারপর পর্যাপ্ত পরিমাণ ফিলটারড বা ফুটানো পানির সঙ্গে একটি জগে মিশিয়ে নিন। সকালে খালি পেটে এটা পান করুন বড় এক গ্লাস। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর দুই গ্লাস পান করুন। সন্ধ্যার সময় ৬/৭টার দিকে আরো দুই গ্লাস পান করুন। মনে রাখবেন, কোলন পরিষ্কারের এই ঘরোয়া উপায় মাত্র একদিনই ভালো কাজ করে। তাই প্রতিদিন এটা পান করতে যাবেন না।

ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি অথবা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পান করুন। কয়েক মাস পর পর একদিন এই পানীয় নিয়মিত পানে এটি আপনার কোলন সুস্থ রাখার পাশাপাশি কোলন পরিষ্কার করে দেবে।

কার্যকারিতা
আদাকে মহৌষধ বলা হয়। সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে মাথা ব্যথা পর্যন্ত দূর করে থাকে আদা। আদা পেট ফাঁপা রোধ করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

লেবুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা হজমে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পেটের সমস্যা যেমন পেট ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা রোধ করে।

আপেল খুব সহজে হজম হয়ে যায়। এটি ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাই ডায়াবেটিস রোগীরাও নির্ভাবনায় খেতে পারেন।
সূত্র : হেলদি ফুড হাউস

সেরানিউজ২৪/আই.জে

মুখের ঘা ভালো হবে সাত ঘরোয়া উপায়ে

ঢাকা, ২০ মার্চ
ডেস্ক: মুখে ঘায়ের সমস্যা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। সাদাটে ছোট এই ঘা বেশ যন্ত্রণাদায়ক। ছোট বড় সব বয়সী মানুষদের মুখের ঘায়ের সমস্যায় পড়তে হয়।
সাধারণত মুখের ভিতর, জিহবা, ঠোঁট, দাঁতের মাড়িতে এটি হয়ে থাকে। ৩ ধরনের মুখের ঘা দেখা যায়। একটি মাইনর আলসার, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। অপরটি মেজর আলসার, এটি প্রায় এক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। আরেকটি হারপেটিফ্রম আলসার, এটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেকগুলো ঘা নিয়ে একটি বড় ঘা হয়ে থাকে।
মূলত যে সকল কারণে মুখে ঘা দেখা দিতে পারে। তারমধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হলো জ্বর, রক্ত স্বল্পতা, ফুড অ্যালার্জি, পুড়ে যাওয়া,স্ট্রেস, অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি, ভিটামিনের অভাব ইত্যাদি। যন্ত্রণাদায়ক এই ঘা ঘরোয়া উপায়ে দূর করা সম্ভব। এই উপায়গুলো নিয়ে আজকের এই আয়োজন।
যষ্টিমধু : মুখের ঘা সারাতে যষ্টিমধু বেশ কার্যকর। এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দুই কাপ পানিতে দুই থেকে ৩ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এটি দিয়ে দিনে কয়েকবার কুলকুচি করুন। যষ্টিমধুর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরী এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের ঘা ভালো করতে সাহায্য করে।

নারকেলের দুধ : এক টেবিল চামচ নারকেলের দুধের সাথে মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ঘায়ের স্থানে লাগান। এ ছাড়া শুধু নারকেলের দুধ দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন অথবা নারকেলের দুধ ঘায়ের স্থানে ম্যাসাজ করতে পারেন। এটি মুখের ঘায়ের ব্যথা দ্রুত হ্রাস করে দিতে সক্ষম।

ধনিয়ার পানি : এক কাপ পানিতে এক চা চামচ ধনিয়া বীচি দিয়ে জ্বাল দিন। ঠান্ডা হয়ে আসলে এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি দিনে চার থেকে পাঁচবার করুন। আয়ুবের্দিক এই পদ্ধতিটি ঘা দূর করতে বেশ কার্যকর।

টি ব্যাগ : খুব সহজ ঘরোয়া উপায়ে মুখের ঘা দূর করার আরেকটি উপায় হলো টি-ব্যাগ। এটি দ্রুত ব্যথা দূর করে দিয়ে থাকে। একটি টি ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে সেটি ঘায়ের স্থানে লাগান। এটি সাথে সাথে আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে।

বেকিং সোডা : এক চা চামচ বেকিং সোডা অল্প পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পাতলা পেস্টটি মুখের ঘায়ের স্থানে লাগিয়ে নিন। এটি দিনে কয়েকবার করুন। এ ছাড়া বেকিং সোডা সরাসরিই মুখের ঘায়ের স্থানে লাগাতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল : অ্যালোভেরা জেল বা জুস মুখের ঘা প্রশমিত করে ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যালোভেরা জেলে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিভাইরাল উপাদান রয়েছে, যা মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে।

তুলসী : কয়েকটি তুলসী পাতাসহ পানি দিনে তিন থেকে চারবার পান করুন। এটি দ্রুত মুখের ঘা প্রতিরোধ করবে এবং মুখে ঘা হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।

সূত্র : টপটেন হোম রিমিডিস

      সেরানিউজ২৪/আই.জে

ফাইবার না গ্রহণে হতে পারে জটিল কিছু সমস্যা

ঢাকা, ২০ মার্চ
ডেস্ক : ফাইবার খাদ্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমাদের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার ডায়েটের প্রতি ১,০০০ ক্যালোরির জন্য ১৪ গ্রাম ফাইবার গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। যদি এর চেয়ে কম ফাইবার গ্রহণ করা হয় তাহলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। যে লক্ষণগুলো দেখে অনুমান করা যায় যে আপনি পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ করছেন না সেগুলোর বিষয়ে জেনে নিই চলুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য : যদি সপ্তাহে ৩ বারের কম মল নির্গমন হয় আপনার তাহলে আপনি সম্ভবত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অদ্রবণীয় ফাইবারের অভাবের কারণেই হতে পারে এই সমস্যা। ডালাসের রেজিস্ট্রার্ড ডায়েটেশিয়ান নাভা কোচরান বলেন, অদ্রবণীয় ফাইবার হজম হয় না, কিন্তু এটি পরিপাক নালি দিয়ে খুব সহজেই বের হয়ে যায় বলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমতে সাহায্য করে। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অনেক বেশি অদ্রবণীয় ফাইবার যোগ করুন। এ জন্য আস্ত গমের পাউরুটি, লাল চাল, বীজ এবং ফল খান।

ওজন বৃদ্ধি : উচ্চমাত্রার ফাইবার যুক্ত সবজি খাওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ চিবাতে হয় এবং পেট ভরা থাকে দীর্ঘসময় ধরে, তাই আপনার খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে। ভাজা খাবারের পরিবর্তে ভাপে সিদ্ধ খাবার- ব্রোকলি বা ডাল গ্রহণ করুন। ১ কাপ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ৬০ সেকেন্ডের মধ্যেই খেয়ে ফেলা যায়। কিন্তু ১ কাপ রান্না করা ব্রোকলি চিবিয়ে খেতে কয়েক মিনিট লাগে এবং এতে ৫.১ গ্রাম ফাইবার থাকে।

সব সময় ক্ষুধা অনুভব : কম ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক্স খাওয়ার পর আপনার অতৃপ্তির অনুভূতি সৃষ্টি হয়। কোচরান বলেন, দ্রবণীয় ফাইবার পরিপাক নালি থেকে পানি গ্রহণ করে এবং পেট ভরার অনুভূতি সৃষ্টি করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি : ফাইবার শুধু পেট ভরা রাখতেই সাহায্য করে না বরং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতেও সাহায্য করে। কোচরান বলেন, ক্ষুদ্রান্ত্রে দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে রক্তস্রোত থেকে কোলেস্টেরলকে বের করে নেয়।

সহজেই বিচলিত হন : আপনি হয়তো ভাবছেন যে কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি প্রোটিন গ্রহণ করার ফলে আপনার ওজন কমবে এবং আপনি ফিট থাকবেন। কিন্তু আপনার শারীরিক কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ওয়েব এমডি এর মতে, নিম্ন মাত্রার কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার অর্থাৎ নিম্ন ফাইবারের খাবার খাওয়ার ফলে আপনি ক্লান্ত ও বিচলিত অনুভব করতে পারেন। তাই ফাইবার গ্রহণ কমানো ছাড়াই ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।

রক্তের চিনির মাত্রা কমাতে : রক্তের চিনির মাত্রা কমাতেও সুপার হিরোর মত কাজ করে ফাইবার। কোচরান বলেন, ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে রক্তস্রোতে চিনির শোষণকে ধীর গতির করে অনেকবেশি ফাইবার গ্রহণ করলে, এর ফলে রক্তে চিনির মাত্রা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়।

পেটে ব্যথা : বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বৃহদান্ত্রের প্রাচীরে ব্যথা এবং যন্ত্রণা হতে পারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র থলির মত গঠন তৈরি হয় বলে এবং এগুলো উদীপ্ত হওয়ার ফলে এমন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যাটি ডাইভারটিকোলাইটিস নামে পরিচিত এবং এটি লো-ফাইবার ডায়েটের সঙ্গে সম্পর্কিত।
সূত্র : রিডারস ডাইজেস্ট

সেরানিউজ২৪/আই.জে

অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ক্ষতি অনেক

ঢাকা, ১৮ মার্চ
ডেস্ক: অতিরিক্ত চিনি খাওয়া যেকোনো ব্যক্তির জন্যই ক্ষতিকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মতে একজন স্বাভাবিক মানুষের প্রতিদিন গড়ে ২৫ গ্রাম বা ছয় চা চামচ পরিমাণ চিনি খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন এর চেয়ে বেশি চিনি খেলে তা যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যা ডেকে আনতে পারে তা তুলে ধরা হলো এ লেখায়।

ক্যাভিটি
চিনি খাওয়ার ফলে দেহের যেসব ক্ষতি হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো দাঁতের ক্ষতি। দাঁতের এনামেল নষ্ট করার জন্য অন্যতম দায়ী উপাদান চিনি। এটি দাঁত ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য জোগায়।

ক্ষুধা বেড়ে যায়
দেহের ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করার একটি উপাদান হলো লেপটিন। খাওয়ার পর এ উপাদানটি জানিয়ে দেয় কখন আর খাবারের দরকার নেই। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি খেলে লেপটিন প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরি হয়। ফলে পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার পরও ক্ষুধা থেকে যায়। এতে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি
চিনি খেলে দেহের ওজন বাড়ে, এ কথা এখন আর কারো জানতে বাকি নেই। চিনিতে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। আর এ ক্যালরিই ওজন বাড়াতে মূল ভূমিকা রাখে।

ইনসুলিন প্রতিরোধ
খাবারকে দেহের ব্যবহারযোগ্য এনার্জিতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে ইনসুলিন হরমোন। দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে গেলে হরমোনটির প্রতি সংবেদনশীলতা কমে যায় এবং রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায়। দেহের ইনসুলিন প্রতিরোধী ক্ষমতা কমে গেলে অবসন্নতা, ক্ষুধা, মস্তিষ্কে বিভ্রাট ও উচ্চরক্তচাপ তৈরি হয়।

ডায়াবেটিস
চিনি বেশি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ৫১ হাজারেরও বেশি নারীকে অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, চিনি বেশি খেলে তাতে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

স্থূলতা
বাড়াতে চিনি খেলে দেহের ওজন বাড়ে এবং এ পর্যায় চলতে থাকলে তা স্থূলতায় রূপ নেয়। কোমল পানীয়, সোডা কিংবা যে কোনো মিষ্টি খেলেই এ ঝুঁকি বাড়ে।

লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হওয়া
মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়া অভ্যাস থাকলে তা লিভারকে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করে। আর এর ফলে লিভারের কিছু জটিলতা তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে এতে লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার
গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্রাতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করলে তার ফলে প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে উচ্চমাত্রায় চিনি খাওয়ার অভ্যাস যাদের রয়েছে তাদের মধ্যে এ ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেশি।

কিডনির রোগ
উচ্চমাত্রায় চিনি গ্রহণ করা হলে তার ফলে কিডনির নানা রোগ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে চিনিযুক্ত কোমল পানীয় এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

উচ্চরক্তচাপ
শুধু লবণ নয়, বেশি চিনি খেলেও তা দেহের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক ৭৪ গ্রাম বা তার বেশি পরিমাণে চিনি খেলে দেহের রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

হৃদরোগ
হৃদরোগ বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ। আর চিনি বেশি খেলে এ হৃদরোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, চিনি বেশি খেলে হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

নেশা
মাত্রাতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জিনিস, চকলেট ইত্যাদি খাওয়াকে এক ধরনের নেশা বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

মস্তিষ্ক বিভ্রাট
স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ফলে মস্তিষ্কের বিভ্রাট হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আর এ ধরনের জটিলতা তৈরি হয় মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে। তাই বাড়তি চিনি খাওয়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের বিভ্রাটের সম্পর্ক আছে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা
মাত্রাতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে অন্য পুষ্টিকর খাবার বাদ দিয়ে চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। আর এমন অভ্যাস থাকলে তা দেহের পুষ্টির ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে।

বাত
দেহের বিভিন্ন হাড়ের সংযোগস্থলে বিশেষ করে পায়ের হাড়ে ব্যথার জন্য দায়ী গেটেবাতের অন্যতম কারণ চিনি। চিনি ও মাংসসহ বেশ কিছু উপাদান দেহের ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। আর এর কারণে তৈরি হতে পারে এমন ব্যথা।

সেরানিউজ২৪/আই.জে

ওজন কমতে সহায়তা করবে চার ধরনের হলুদ ফল

ঢাকা, ১৭ মার্চ
ডেস্ক : অধিক ওজন শারীরিক সৌন্দর্য যেমন নষ্ট করে, তেমনি বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতারও কারণ। তাই ওজন স্বাভাবিক রাখাই প্রয়োজন। আর তাই অধিক ওজনের মানুষ ওজন কমাতে চান এবং বিভিন্ন ধরনের ডায়েট প্ল্যান অনুসরণ করেন।
আপনি কী জানেন এমন কিছু হলুদ ফল আছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে? এমন ৫টি হলুদ ফলের কথা আলোচনা করা হলো।

হলুদ ক্যাপসিকাম : বিভিন্ন ধরনের মরিচ পাওয়া যায় আজকাল। হলুদ ক্যাপসিকাম স্বাদে কিছুটা মিষ্টি হলেও ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে এতে। এদের মধ্যে ক্যাপসাইসিন ও থাকে, যা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিপাকের গতি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই আপনার সালাদ ও স্যান্ডউইচে হলুদ ক্যাপসিকাম ব্যবহার করুন।

হলুদ : হলুদে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুত গতির করাসহ নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারীতা বিদ্যমান।হলুদ চর্বি ভাঙ্গতে সাহায্য করে এবং শরীরে চর্বি জমতেও বাঁধা দেয় কারণ এতে কারকিউমিন থাকে। তরকারিতে হলুদ ব্যবহার করুন ভালো ফল পেতে।

লেবু : লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে পেকটিন নামক ফাইবার থাকে যা দীর্ঘ সময় যাবৎ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে এবং শরীরের চর্বি ভাঙ্গতেও সাহায্য করে। এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য ১ গ্লাস উষ্ণ পানিতে ১ টি লেবুর রস চিপে নিন। আরো বেশি উপকারিতা পাওয়ার জন্য এর সাথে মধু মিশাতে পারেন। দিনের প্রথমভাগে এই মিশ্রণটি পান করুন।

কলা : বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন যে কলাতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে। কিন্তু ব্যায়ামের পর কলা খেলে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়। যদি আপনি আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে চান তাহলে ১ টি কলার অর্ধেক অংশ ভালো করে পিষে নিন এবং এর সঙ্গে শুষ্ক জিরা যোগ করুন। প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণটি ২ চামচ গ্রহণ করুন। সূত্র : দ্য হেলথ সাইট
সেরানিউজ২৪/আই.জে